প্রথম সপ্তাহে মোদী সরকার তার একার সরকার, সমস্ত সিদ্ধ্বান্ত তার একক সিদ্ধ্বান্ত।
নিজের মন্ত্রীসভা চয়নে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব স্বাক্ষর
রাখবেন এটাই দস্তুর। কিন্তু এই মোদী সরকার আশ্চর্য মোদীময়। বিকাশের গুজরাত মডেলটি
ঠিক কীরকম তা নিয়ে বরাবরই বিতর্ক ছিল এবং এখনও আছে। কিন্তু শাসনের গুজরাত মডেল
নিয়ে নয়। গুজরাত সরকারে সুপার-সিএম মোদী ছিলেন একছত্র। দিল্লীতে সুপার-পীএম মোদীও
ঠিক তাই।
দশটি মন্ত্রকে কেবল রাজ্যমন্ত্রী। মোদীর মন্ত্রীসভা গঠনের
সবচেয়ে বড় চমক। কোন কোন মন্ত্রক? বাণিজ্য
ও শিল্প। যোজনা। পেট্রলিয়ম ও ন্যাচরাল গ্যাস। বিদ্যুত, কয়লা, নতুন ও নবীকরণযোগ্য
শক্তি। স্কিল ডেভলপমেন্ট ও অন্ত্রপ্রিনিওরশিপ। এবং অবশ্যই
পরিবেশ মন্ত্রক। প্রতিশ্রুত অর্থনৈতিক প্রগতিতে গতি আনতে সবকটি একান্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা কারা? নির্মলা সিথারমন, রাও ইন্দরজিত
সিং, ধর্মেন্দ্র প্রধান, পিয়ুশ গোয়াল, সর্বানন্দ সোনোয়াল বা প্রকাশ জাভারেকর। কেউই
রাজনৈতিক কলেবরে কেউকেটা নন। এবং সকলেই মোদীর একান্ত বিশ্বাসভাজন। অর্থাৎ বকলমে এই
মন্ত্রকগুলি থাকবে মোদীরই হাতে এবং নিয়ন্ত্রিত হবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চটজলদি উপায় পরিবেশ, অরণ্য ও
বন্যপ্রাণী আইনে আটকে থাকা প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পকে ছাড়পত্র
দেওয়া। এই আইনগুলির বিধিনিষেধ এড়াতে, ইতিমধ্যেই মোদীর নির্দেশ পৌছেচে পরিবেশ
মন্ত্রকে। আগামী দুই থেকে চার মাসের
মধ্যে অনুমোদন প্রক্রিয়া এমনভাবে বদলে ফেলতে হবে যাতে ভবিষ্যতে পরিবেশ ও অরন্য
বিষয়ক ছাড়পত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই জারি করা যায়। প্রথম পাঁচদিনেই আটকে থাকা ২৮,০০০
কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প ছাড়পত্র পেয়েছে। এবার পালা ৫২,০০০ কোটির আরও ১৬টি প্রকল্পের।
মোদীর দ্বীতিয় চমক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যা কিনা আপাতত
অর্থমন্ত্রীর জিম্মায়। যদিও এটা পাকাপাকি বন্দবস্ত নয়, এই সিদ্ধান্তের পেছনেও
কিন্তু ওই নতুন সরকারের মোদীময়তা। সর্বশক্তিশালী ক্যাবিনেট
কমিটি অন সিকিওরিটি–তে থাকেন প্রধানমন্ত্রী,
গৃহমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এমন নয় যে বিজেপিতে যোগ্য পাত্র
কম পড়েছে, কিন্তু সিসিএস-এ মোদী চান একাধিপত্য। সমস্যা হল মোদীর বিশ্বস্ত তরুন
নেতাদের মধ্যে থেকে কেউই ঠিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে বসার উপযুক্ত নন। ওদিকে দলে বয়ঃজ্যেষ্ঠদের
মধ্যে অধিকাংশই মোদীবিরোধী বা সমালোচক। একা সুষমা স্বরাজ-এ রক্ষা নেই, সিসিএস-এ
(এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে) জসবন্ত সিং বা যশবন্ত সিনহা-এর অন্তর্ভুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর
স্বভাবতই আপত্তি রয়েছে।
একইভাবে দলের পঁচাত্তরোর্ধ নেতাদের মন্ত্রীসভায় ঠাই হবে না
জানিয়ে মোদী লালকৃষ্ণ আডবানি ও মুরলীমনোহর জোশীকে বাইরে রেখেছেন। রাষ্ট্রীয়
স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের যথেষ্ট চাপ থাকা সত্ত্বেও পোড়খাওয়া বিরোধী এবং সমালোচকদের নতুন
সরকারে এমনকি কোন এলে-বেলে ভুমিকাতেও সামিল না করে মোদীর প্রথম রাত্তিরেই বেড়াল
মারার সিদ্ধান্ত তার বহুকথিত রাজনৈতিক দৃঢ়তারই পরিচায়ক। যদিও সঙ্ঘ এখনও আশা ছাড়েনি
(এবং জোশী মোদীর নেতৃত্বে কাজ করতে তৈরি বলেও জানিয়েছেন), নতুন প্রধানমন্ত্রী চান
না তার সরকারে একাধিক ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি হোক।
অন্যদিকে, সঙ্ঘকে খুশি রাখতে মোদী মানবসম্পদবিকাশ (শিক্ষা) মন্ত্রকে
বসিয়েছেন স্মৃতি ইরানিকে। টেলিভিসনের তুলসি চরিত্রের জন্য বিখ্যাত ইরানির বয়স ৩৮,
সম্ভবত আজ পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে কমবয়েসি ক্যাবিনেট মন্ত্রী। অটলবিহারী বাজপেয়ীর
সরকারে মানবসম্পদবিকাশ মন্ত্রী জোশী সমস্ত সরকারি কমিটির খোলনলচে বদলেছিলেন
ডানপন্থী বুদ্বিজীবী ও শিক্ষাবিদদের নিয়োগ করে। স্কুল-কলেজের পাঠক্রমে বামপন্থী
ঐতিহাসিকদের লেখা বই বাতিল করে এক অর্থে ইতিহাস বদলেরও একটা চেষ্টা হয়েছিল। সঙ্ঘের
সাংস্কৃতিক শুদ্ধিকরণ অভিযানে মানবসম্পদবিকাশ মন্ত্রকের ভুমিকা বিশেষ
গুরুত্বপূর্ণ। ইরানি ইতিমধ্যেই নানা শাস্ত্রপুস্তকাদি পাঠক্রমে সামিল করার কথা
পেড়েছেন। ‘তুলসি’র আড়ালে থেকে তার হয়ে মসীচালনা করতে সঙ্ঘের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
দিল্লীর মন্ত্রীসভা চয়নে সব দিক দিয়েই গুজরাত মডেলের স্পষ্ট
ছাপ। মুখ্যমন্ত্রী মোদী তার
মন্ত্রীদের মধ্যে বিশেষ ভরসা রাখতেন বিতর্কিত গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ-এর ওপরে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমণ্ডলে তিনি সেই জায়গাটা দিয়েছেন অরুণ জেটলিকে। কাগজেকলমে
গৃহমন্ত্রী রাজনাথ সিং মন্ত্রীসভায় মোদীর পরেই কিন্তু অর্থমন্ত্রীর হাতে
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক গচ্ছিত রেখে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন দলে তার সবচেয়ে
বিশ্বাসের পাত্রটি কে।
বিশ্বস্ততার পুরস্কার অবশ্য পেয়েছেন মন্ত্রীসভার অধিকাংশ
সদস্যই। যেমন ইরানি, যাকে রাহূল গান্ধীর আমেঠীর জন্য মোদী নিজে বেছে নিয়েছিলেন। যেমন নাজমা
হেপতুল্লাহ, যিনি ২০০৪-এর লোকসভা ভোটে বীজেপীর ভরাডুবির কয়েক সপ্তাহ পরেই কংগ্রেস
ছেড়ে পার্টীতে যোগ দেন। যেমন সিথারমন, গোয়াল বা জাভারেকর, যারা দিনের পর দিন সংবাদ
মাধ্যমে, বিশেষত টিভির পর্দায়, মোদীর হয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। বাদ যাননি পার্টির করিৎকর্মারাও।
যেমন তরুণ ধর্মেন্দ্র প্রধান, যার নেতৃত্বে বীজেপী বিহারে জিতেছে ২২টী আসন।
মোদী মন্ত্রীসভার আরেক বৈশিষ্ট, কতকটা বিজেপির সফল নির্বাচনী
সমীকরণের ধাঁচেই, উচ্চ ও নিম্ন বর্ণের হিন্দু সমন্বয়। আশ্চর্য নয় যে মোট মোদীর ৪৫
মন্ত্রীর মাত্র চারজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। মানেকা গান্ধী,
হরসিমরত বাদল (দুজনেই শিখ), হেপতুল্লাহ (মুসলিম) ও কিরেন রিজিজু (বৌদ্ধ)। ইরানি
পঞ্জাবী ক্ষত্রি, বিবাহসূত্রে পার্সি। বাকি ৪০ মন্ত্রী হিন্দু এবং তাদের মাত্র ২২
জন উচ্চবর্ণ।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণ সাতজন; জেটলি, স্বরাজ, নিতিন
গদকারি, অনন্ত কুমার, কাল্রাজ মিশ্র, জাভারেকর এবং
সিথারমন। রাজপুত চারজন; রাজনাথ সিং, রাধামোহন সিং, ভি কে সিং,
জিতেন্দ্র সিং। বাকি ১১ জন অন্যান্য উচ্চবর্ণের; ভেঙ্কাইয়া নাইডু, রবিশঙ্কর
প্রসাদ, ডঃ হর্ষ বর্ধন, গজপতি রাজু, সদানন্দ গওরা, সন্তোষ গাংওয়ার, গোয়াল, পি
রাধাকৃষ্ণান, জি এম সিধ্বেস্বর, মনোজ সিনহা এবং রাও সাহেব দানভে।
অন্যদিকে মোদী মন্ত্রীসভায় ওবিসি নয়জন; গোপিনাথ মুণ্ডে, উমা
ভারতি, অনন্ত গীতে, নরেন্দ্র তোমার, রাও ইন্দরজিত সিং, শ্রীপাদ নাইক, ধর্মেন্দ্র
প্রধান, উপেন্দ্র কুশওয়াহা এবং সঞ্জিব বাল্যান। আদিবাসি ছয়জন; জুয়াল ওরাম,
সরবানন্দ সোনোয়াল, মনসুখভাই ভাসাভা, বিষ্ণু দেব সাই, কৃষ্ণান পাল গুর্জার এবং
সুদর্শন ভগত। বাকি তিনজন – রামবিলাস পাসওয়ান, থাওয়ারচাঁদ গেহলট ও নিহাল চাঁদ -
তফসিলি জাতির।
মোদীর আত্মবিশ্বাসের প্রথম ঝলক অবশ্যই সার্ক নেতৃত্বের
প্রতি তার আমন্ত্রণ। নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য তাকে রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে
প্রতিষ্ঠা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে নিজের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে চটজলদি সার্কের আসর
বসিয়ে নিজেকে অনায়াসে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার মোদীর এই সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে
সাহসী এবং উদ্ভাবক। বিজেপি ২৭২-এর গণ্ডি পেরনোয় তিনি যেমন রাজাপক্ষকে নিমন্ত্রনের
বিরুদ্ধে জয়ললিতা ও ভাইকোর আস্ফালনকে অগ্রাহ্য করেছেন, তেমনি কান দেননি নওয়াজ
শরিফ-এর উপস্থিতি নিয়ে সঙ্ঘ, শিবসেনা বা বিজেপির একাংশের আপত্তিতে। ধরে নেওয়া যায় যে
মোদীর প্রতিশ্রুত আসন্ন বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তির পথে মমতা ব্যানার্জির গাজোয়ারি
কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
তার আত্মবিশ্বাসের আরেক পরিণাম এনডিএ-র তিন
সহযোগী দলের ভাগে দলপিছু মাত্র একটি মন্ত্রক। পাসওয়ানের তুলনায় চন্দ্রবাবু বা
ঠাকরের সাংসদের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু তাতে তাদের মন্ত্রকের ভাগে ফারাক পরেনি।
শিবসেনার অনন্ত গীতে তার মন্ত্রক মনমত না হওয়ায় কাজে যোগ না দিয়ে চাপ তৈরির একটা
চেষ্টা করেছিলেন। মানভঞ্জনের পালা দূরে থাক, উদ্দ্ববকে মোদীর একটি ফোনের পর
গুটিগুটি ওই ভারি শিল্প মন্ত্রকেরই দায়িত্ব নিয়েছেন গীতে। অদূর ভবিষ্যতে
মন্ত্রিমণ্ডলের বিস্তার এবং তেলেগু দেশম ও সেনার ভাগে আরও দুএকটি মন্ত্রক যাওয়ার
যথেষ্ট সম্ভবনা থাকলেও আপাতত মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন সংখ্যার জোর কাকে বলে।
কিন্তু মোদীর এই আত্মবিশ্বাসের ভুক্তভোগী তার
নিজের পার্টিও। বেশ কিছু রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব তাদের সাফল্যের পুরস্কার না পেয়ে
অসন্তুষ্ট। উদাহরন হিসেবে রাজস্থান। রাজ্যের ২৫ আসনই পার্টির পক্ষে গেলেও মোদীর
মন্ত্রীসভায় রাজস্থান থেকে মন্ত্রী মাত্র একজন। চমকপ্রদ সাফল্যের পরেও ঝাড়খনড,
উড়িষ্যা, আসাম ও অরুনাচলের কপালে জুটেছে ওই এক-একটি মন্ত্রকই। বাজপেয়ী
মন্ত্রীমণ্ডলে বাংলার জন্য মন্ত্রীপদ বাঁধা ছিল। এবার তিনগুণ ভোট বাড়িয়েও বাংলা
বিজেপি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। মোদী মন্ত্রক বিলি করেছেন ভবিষ্যৎ-এর দিকে চোখ রেখে। কয়েক
মাস বাদেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট, তাই রাজ্যের মন্ত্রীর সংখ্যা ছয়। বিহারে ভোট
আগামী বছর, মন্ত্রীর সংখ্যা পাঁচ। মোদী জানেন দিল্লীর তখতে টিকে থাকতে গেলে উত্তর
প্রদেশে সাফল্যের বিকল্প নেই। সেইমত, রাজ্যের ভাগে পড়েছে সবচেয়ে বেশি নয়জন
মন্ত্রী।
বিজেপি হোক বা সঙ্ঘ বা কোন সহযোগী দল, কেউই এই
মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর কোন সিদ্ধ্বান্তকে প্রশ্ন করার জায়গায় নেই। নিজের দফতরে
পছন্দের মুখ্য সচিব নিয়োগ করার পথে সরকারি কানুনের বাধা আসায় প্রধানমন্ত্রিত্বের
প্রথম দিনে সেই নিয়মই বদলে ফেলেছেন মোদী। ঠিক যেভাবে গুজরাতে নিজের পছন্দের
আমলাদের নিয়ে সমস্ত দফতরের মূল সিদ্ধ্বান্তগুলি নিজেই নিতেন, দিল্লীতেও সেপথেই
এগোচ্ছেন তিনি। সিদ্ধ্বান্তগ্রহন
প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ইতিমধ্যেই সমস্ত ‘গ্রুপ অব মিনিস্টারস’ রদ করে মোদী
জানিয়েছেন যে প্রত্যেক মন্ত্রক তার নিজের সিদ্ধ্বান্ত deবে এবং যেকোন আভ্যন্তরীণ
সঙ্ঘাতে রায় দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
তবু, দুটি প্রশ্ন থেকে যায়। প্রায় একা হাতে
একটি রাজ্য হয়ত চালানো যেতেও পারে, কিন্তু দেশ? বিশেষত বিস্তারে এবং বৈচিত্রে
ভারতের মত দেশ? দ্বিতীয়ত, মোদীর গুজরাতের ধাঁচে প্রশাসনিক কেন্দ্রিকরন হয়ত দ্রুত
সিদ্ধ্বান্ত নিতে সাহায্য করে, কিন্তু বিভিন্ন মতামতের, অভিজ্ঞতার এবং প্রয়োজনীয়
সংশয়ের অনুপস্থিতিতে ভারতের জটিল বাস্তবতাকে বুঝে ওঠা বা তার বিবিধ সমস্যার
গ্রহণযোগ্য সমাধান করা কতদূর সম্ভব?
প্রথম সপ্তাহে মোদী সরকার তার একার সরকার,
সমস্ত সিদ্ধ্বান্ত তার একক সিদ্ধ্বান্ত। কিন্তু মনমোহন সিং সরকারের শেষপর্বের
আভ্যন্তরীণ টানাপড়েন আর সিদ্ধ্বান্তিক দোনামনার বিকল্প দেশের অর্থনীতিকে ‘চল
ছুঁড়ি, তোর এখনি বিয়ে’ গোছের মনোভাব নিয়ে উন্নয়নের শেষ কথা শোনানো হতে পারে না। মোদী গুজরাত
মডেলের নামে দেশব্যাপী বিপুল আশা জাগিয়ে দিল্লী পৌঁছেছেন। কিন্তু এই বিচিত্র দেশকে
গুজরাতের সরলীকরণে ভাবা বা একা হাতে সামলানোর চেষ্টা অবাস্তব। প্রধানমন্ত্রীর
ভারত মডেল-এর রূপরেখা নিয়ে শেষ কথা বলার সময় আসেনি। কিন্তু এ পর্যন্ত মোদী ব্যস্ত
তার গুজরাত মডেলের জাতীয় রুপান্তরে।
No comments:
Post a Comment